বর্তমান পৃথিবীতে ডায়াবেটিস(Diabetes) নামক যে দীর্ঘমেয়াদী রোগটি বিরাজমান তা নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম, খাদ্যভাসে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। কেননা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদী রোগ হতে পারে। তাই নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হলে ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান রাখা জরুরি। 


কোনো রোগ ধরা পড়লে বা কোনো রোগের চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে ডাক্তার সর্বদা একজন রোগীকে জিজ্ঞেস করে তার ডায়াবেটিস আছে কিনা। অর্থাৎ কারো ডায়াবেটিস থাকার কারণে অন্যান্য রোগকে চিকিৎসা করাটাও ডাক্তারদের পক্ষে মুশকিল হয়ে দাড়ায়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ অত্যাবশ্যকীয় ব্যাপার। যদি কারো ডায়াবেটিস থাকে তাহলে পরিমিত খাদ্যাভাসের মাধ্যমে সেটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। 


ডায়াবেটিস কি?(What is diabetes)

ডায়াবেটিস হচ্ছে একটি বিপাকীয় সিন্ড্রোম বা metabolic syndrome যেখানে শরীরে পর্যাপ্ত ইনসুলিন না থাকার কারণে রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করা বেড়ে যায়। এই অতিরিক্ত শর্করা রক্তেই থাকে, কোষের ভেতর প্রবেশ করতে পারে না। অতিরিক্ত ঐ শর্করা ক্ষেত্রবিশেষ মূত্রের মাধ্যমেও বের হয়। তাই তো একে বহুমূত্রও বলে। ডায়াবেটিস নিয়ে বিস্তারিত পড়ুন-

ডায়াবেটিস এর প্রকারভেদ 


কেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবেন?(Why you need to maintain diabetes)

ডায়াবেটিস হলে যা সমস্যা হয় তা হলো রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ(glucose) থাকে। রক্তে এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ কোষের ভেতর গিয়ে শক্তি উৎপাদন করার কথা ছিলো। কিন্তু ইনসুলিনের অনুপস্থিতিতে তা যাচ্ছে না। এখন ঔষধ খেয়ে মূলত কোষকে গ্লুকোজ নেয়ার উপযোগী করা হয় অথবা যাদের টাইপ-১ ডায়াবেটিস তাদের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে ইনসুলিন দেয়া লাগে। 

যদি সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত না হয় তাহলে কোষ শক্তি পাবে না, ফলস্বরূপ দুর্বল অনুভব করা হয়। আবার রক্তের গ্লুকোজ কোষ থেকে পানি টেনে নিয়ে যাবে রক্তে। ফলে কোষে পানিশূন্যতা দেখা দিবে। একে ডিহাইড্রেশন(Dehydration) বলে। 

গ্লুকোজ এর অসমোটিক ক্ষমতা আছে বলেই এমন হয়। এখন ব্রেনের একমাত্র খাবার হচ্ছে গ্লুকোজ। তাই রক্তে গ্লুকোজ বাড়লে সেটি ব্রেনের কোষ থেকে পানি টেনে নিয়ে cerebral dehydration ঘটাবে। ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হলে সম্পূর্ণ শরীর অকেজো হয়ে যাবে। 

অর্থাৎ বুঝা যাচ্ছে ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তাহলে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস এমন একটি সিনড্রোম( syndrome) যেটি একবার হলে এটিকে শুধুমাত্র নিয়ন্ত্রণই করতে হয়। এটি নির্মূল সম্ভব নয়অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আরো ভয়াবহ স্বাস্থ্য বিচ্যুতি ঘটাতে পারে। 

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হলে শরীরের যেসব সমস্যা তৈরি হয়!(what are the problems caused by Uncontrolled diabetes) 

প্রথমত দেহের রক্তে গ্লুকোজ বেশি হলেও তা তো কোষে নেই। অর্থাৎ অতিরিক্ত শক্তির উৎস থাকার পরও কোষ শক্তি পাচ্ছে না। তাই শরীর এমন একটি অবস্থায় থাকে যা মূলত শক্তিহীন। তাই দুর্বল তো লাগেই এবং শক্তির জন্য আরো খেতে ইচ্ছে করে। অর্থাৎ ক্ষুধা বেশি লাগে। এটি ডায়াবেটিস এর একটি লক্ষণও বটে( polyphagia)। 

অতিরিক্ত গ্লুকোজ মূত্র দিয়ে বের হয়ে যায়। দেহে পানি কমে যায়। ফলে অতিরিক্ত পিপাসা লাগে। (polydypsia)। 

এবং মূত্র দিয়ে অতিরিক্ত urine যাওয়াকে বলে polyuria। 

এই তিনটি হচ্ছে ডায়াবেটিস এর শুরুতে প্রভাব। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ তা যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে আরো বিরূপ কিছু প্রভাব দেখা দেয়।

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক(Heart attack and stroke)

ইনসুলিন সর্বদাই লিপিড ভাঙ্গতে দেয় না। ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন থাকে না বা থাকলেও কোষ তা ব্যবহার করতে পারে না। ফলস্বরূপ, লিপিড ভেঙ্গে ট্রাইগ্লিসারাইড ও ফ্যাটি এসিডে পরিণত হয়। এই অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড বা লিপিড হৃদঝুকি বাড়িয়ে দেয়। কেননা ধমনী বা শিরার অতিরিক্ত লিপিড জমে গিয়ে তারপর সেখানে অণুচক্রিকা আটকে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়। 

যদি ক্যারোটিড ধমনিতে সেটি ঘটে তাহলে হবে স্ট্রোক।

আবার কোষ তো গ্লুকোজ ব্যবহার করতে পারছে না। তাই কোষের ব্যবহার উপযোগী কোনো শক্তির উৎস দরকার। তখন লিপিড ভেঙ্গে যে ফ্যাটি এসিড হয় সেটি কিটো এসিডে পরিণত হয়। অতিরিক্ত কিটো এডিস কিটো এসিডোসিস সৃষ্টি করে। এর কারণে দেহের ফাংশন বিনষ্ট হয়। 

ডায়াবেটিস এর থাকলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে গেলে তা চোখের রেটিনায় যে ধমনী থাকে সেই ধমনীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতিরিক্ত গ্লুকোজের কারণে তা হয়। ফলে চোখে দেখতে সমস্যা হয়। একে রেটিনোপ্যাথি(retinopathy)  বলে। 

তেমনি অতিরিক্ত গ্লুকোজ নিউরনের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। একে  বল। 

যদি কিডনিতে মূত্রে অতিরিক্ত গ্লুকোজ যাওয়ার ফলস্বরূপ কোনো ক্ষতিগ্রস্ততা দেখা যায় তাহলে সেটি হচ্ছে নেপরোপ্যাথি। 

অথীৎ কিডনি এমনকি বিকলও হয়ে যেতে পারে। 

এছাড়া মূত্রথলি রিফ্লেক্স হারিয়ে ফেলা, কার্ডিওপ্যাথি সহ নানা সমস্যা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হলে দেখা দেয়। 

এখন যদি একটি লাইনে বলি ডায়াবেটিস হলে কি কি সমস্যা হয় তাহলে বলতে হবে ক্ষুধা, তৃষ্ণা, অতিরিক্ত মূত্র হওয়া, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনি বিকল, চোখে সমস্যা এবং ব্রেইনের ফাংশন বাধাগ্রস্ত হওয়া। 

ডায়াবেটিস এর অত্যন্ত ভয়াবহ প্রভাব আছে বলেই তো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা,কি কি খাওয়া যাবে,diabetes কত হলে নরমাল,ভরা পেটে কত নরমাল,diabetes নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় এবং প্রতিকার ও করণীয়,ডায়াবেটিস এর ট্যাবলেট এর নাম,ডায়াবেটিস হলে কি কি খাওয়া যাবে না,
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার যত উপায়
health science 


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার উপায়?(How to control diabetes)

সর্বপ্রথম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য যেটি জানা শুরুি সেটি হচ্ছে আপনার কোন ধরনের ডায়াবেটিস হয়েছে সেটা বুঝা। সেটা ডায়াবেটিস ১ এবং ২ যে কোনোটাই হতে পারে। 

সেটা উদঘাটন করার পর হচ্ছে আপনি নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপ গুলো নিতে পারবেন। যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের ডায়াবেটিস আছে কিনা সেটি বুঝার জন্য ডায়াবেটিসের লক্ষণ( তৃষ্ণা, ক্ষুধা, অতিরিক্ত মূত্র, ঘা দেরিতে শুকানো) দেখলেই ডায়াবেটিস চেক করতে যাবেন। 

এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম RBS (Random blood Sugar) করানো হয়। এটি ৭ মিলিমোল/লিটার এর কম হলে নরমাল। 

অর্থাৎ ডায়াবেটিস এর নরমাল RBS ৭ এর কম। ৭ এর বেশি হলে OGTT(Oral glucose Tolerance Test) করতে দেয়া হয়। যেখানে খাবার খাওয়ার পূর্বে এবং পরে রক্তে গ্লুকোজ মাপা হয়। খাবার খাওয়ার পর সেটি ১০.১ এর বেশি হলে সেটি ডায়াবেটিস হিসেবে গণ্য। 

অর্থাৎ নরমাল ডায়াবেটিস এর মান খাওয়ার(ভরা পেটে) পর ১০ এর কম। 

তারপর ডাক্তারই বলে দিবে ডায়াবেটিস ১ না ২। সে অনুযায়ী পরবর্তীতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। 

খালি পেটে ডায়াবেটিস যদি ২০mg/dl এর বেশি হয় তাহলে তা মৃত্যুও ঘটাতে পারে( life threatening)। 

১. ডায়েট নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমত ডায়েট ঠিক রাখতে হয়। সঠিক খাবারের বাচাই করতে হবে। যেসব খাবারের GI(Glycemic index) কম সেসব খাবার বাচাই করতে হবে। glycemic index বলতে বুঝায় কোনো খাবার কত দ্রুত দেহের রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি করছে। 

কম গ্লাইসেমিক index যুক্ত খাবার দ্রুত রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি করবে না। তাই এই সব খাবার খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কম glycemic যুক্ত খাবারের তালিকা বা ডায়াবেটিস রোগীর তালিকা বলা যেতে পারে-,

১. শাক-সবকি

i. জাম্বুরা

ii. গাজর

iii. মটরশুটি

iv. বাধাকপি

v. ব্রুকলি 

vi. লাউ

vii. বেগুন

viii. শস্যদানা বা cereals 

ix. যেকোনো ধরনের শাকসবজি 

২. ফল-ফলাদি 

i. আপেল

ii. মাল্টা -কমলা

iii. বাদাম

iv. আনার 

অর্থাৎ শাক-সবজি এবং ফল জাতীয় খাদ্য বেশি খেতে হবে। এবং যেসব খাবারের GI বেশি তা পরিহার করে চলতে হবে। যেসব খাবারের GI বেশি তা হচ্ছে এককথায় মিষ্টি জাতীয় খাদ্যাবলী। এসব হচ্ছে ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবার তালিকা বা ডায়াবেটিস হলো এসব খাবার একদমই খাওয়া যাবে না-

১. মিষ্টি

২. কোক বা সফট ড্রিংকস

৩. আইস-ক্রিম

৪. আলু 

৫. সাদা ভাত 

৬. কেক-কুকিস

৭. মিষ্টি বিস্কুট

৮. আনারস 

৯. তরমুজ

১০.দই 

১১. রেস্টুরেন্টে এর হাই ফ্যাটযুক্ত গ্রিল, মাংস জাতীয় খাবার।

ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা,কি কি খাওয়া যাবে,diabetes কত হলে নরমাল,ভরা পেটে কত নরমাল,diabetes নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় এবং প্রতিকার ও করণীয়, কি খেলে ডায়াবেটিস হবে না,ডায়াবেটিস কি নিরাময় হবে,
যেসব খাবার পরিহার করা উচিত 
কম এবং বেশি GI যুক্ত খাবার
স্বাস্থ্য সচেতনতা


নিষিদ্ধ খাবার তালিকায় ভাত থাকলেও  ব্যাপারটি এইরকম নয় যে ভাত আপনি খেতে পারবেন। অতিরিক্ত ভাত খাওয়া থেকে বিরত থাকা জরুরি। আবার কোনোভাবেই ৩ বেলা ভাত খাওয়া যাবে না। আমরা সাধারণত ২ বেলা খাই, তবে ভালো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য ২ বেলা ভাতের পরিবর্তে ১ বেলা রুটিও খাওয়া যেতে পারে।

এছাড়াও গ্রিল বা ফ্যাট জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে কেননা এমনিতেই তো হৃদরোগের ঝুকি থাকে কারণ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ফ্যাট জাতীয় খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া উচিত নয়।


৩.নিয়মিত ব্যায়াম 

ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী একটি পদক্ষেপ হচ্ছে নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম করলে দেহের পেশির গ্লুকোজ দরকার হয়। তখন দেহ তুলনামূলক কম ইনসুলিন ব্যবহার করে গ্লুকোজ নিয়ে নেয়। অথবা কোষের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ে। ফলে কম ইনসুলিন দেহ ব্যবহার করে রক্তে গ্লুকোজ বা blood sugar এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। 

এছাড়াও অতিরিক্ত ওজন ব্যায়ামের মাধ্যমে কমিয়ে সুস্থ এবং রক্তের স্যুগার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এগুলোই হচ্ছে মূলত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া এবং প্রাকৃতিক উপায় যেটি খুব সহজেই কোনো জটিলতা ছাড়াই মানা যায়।  


৪. রক্তে গ্লুকোজ বা blood sugar নিয়মিত চেক করা

হঠাৎ করে ডায়াবেটিস যদি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তা বুঝার জন্য রক্তে স্যুগারের পরিমাণ মাপতে হবে। সময়ে সময়ে বা ৬ মাস অন্তর অন্তর সেটি করা যেতে পারে।

৫. ডাক্তারের পরামর্শ মতে নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ

ডায়াবেটিস ধরা পরার পর সেটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাক্তার যেসব ঔষধ প্রেসক্রাইব করবে তা নিয়মিত অবশ্যই নিতে হবে। ডায়াবেটিস এর কমন ঔষধ হচ্ছে মেটফরমিন(metformin)( Brand এর নাম- fortamet, glumetza) ইত্যাদি। 

এসব ট্যাবলেট লিভারে গ্লুকোজ উৎপাদন কমিয়ে দেয়। এছাড়াও sulfonylureas (Glipizide),  GLP-I receptor agonist( Exenatide), SGLT2

 inhibitor সহ নানা ঔষধ ডায়াবেটিস রোগীদের দেয়া হয়। আবার টাইপ-১ এর ক্ষেত্রে তো সরাসরি ইনসুলিন দেয়া হয়। 

সেটা যাই হোক, ডাক্তার যেই অনুযায়ী বলবে সেই অনুযায়ী অবশ্যই নিয়মিত ঔষধ নেয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এর উপায়। 

৬. ওজন নিয়ন্ত্রণ 

ওজন নিয়ন্ত্রণ না করলে ডায়াবেটিস ও তার সাথে থাকলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক এর সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় বহুলাংশে। তাই ডায়েট মেইনটেইন করে ওজন ও মেইনটেইন করতে হবে। 

৭. স্ট্রেস কম নিতে হবে 

স্ট্রেস নিলে কর্টিসোল হরমোন এর পরিমাণ বেড়ে গিয়ে তো রক্তে ব্লাড স্যুগার বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত স্ট্রেস বা ভয় পাওয়া যাবে না।

৮. পরিমিত পরিমাণ ঘুম এবং সঠিক সময়ে ঘুম

সর্বোপরি ঘুম নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ডায়াবেটিস এর আশঙ্কা থেকেই যায়। রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। বেশি রাত জাগা যাবে না। গবেষণায় বলে যারা অতিরিক্ত রাত জাগে এবং দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে তাদের ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।


ডায়াবেটিস এমন একটি অবস্থা যা চিরতরে নিয়াময় হয় না বা সেটি নিরাময় করার জন্য কোনো ঔষধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। এমন কোনো খাবারও নেই যেটি খেলে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ নিয়াময় হবে বা ডায়াবেটিস হবে না। ডায়াবেটিস রোধ করার জন্য শরীরকে সার্বিকভাবে সুস্থ রাখতে হবে। এবং একবার ডায়াবেটিস হয়ে গেলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা বেঁচে থাকার জন্য একটি ফরজ কাজ হয়ে যায়।