খাবার স্যালাইন বা Oral Rehydration saline অতি গুরুত্বপূর্ণ এটা উপাদান যা শরীরের যেকোনো পানিশূন্যতা বা dehydration এ আমাদের কাজে আসে। খাবার স্যালাইন ছাড়াও বর্তমানে SMC মিষ্ট স্যালাইন ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে। যেকোনো ধরনের স্যালাইনই হোক না কেন সঠিক সময়ে সঠিকভাবে তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। 

এমনকি স্যালাইন কোনো কারণ না ছাড়া খেলেও ক্ষতি হবে। 

খাবার স্যালাইন কি ও তা কিভাবে কাজ , এর উপকারিতা এবং অপকারিতা,খাবার স্যালাইন তৈরির ও খাবার সঠিক নিয়ম,খাবার স্যালাইন এর উপাদান ও বাসায় কিভাবে তৈরি করবো,
স্যলাইন এর উপকারিতায় বলা যায় তা পানিশূন্যতায় ব্যবহার করা হয়
Health Science  


খাবার স্যালাইন কি/ খাবার স্যালাইন এর উপাদান এবং তা কিভাবে কাজ করে?

খাবার স্যালাইন হচ্ছে মূলত লবণ ও চিনির মিশ্রণ যার কাজ হচ্ছে শরীরে পানি ধরে রেখে পানিশূন্যতা দূর করা। 

যদি খাবার স্যালাইন না তৈরি করি পারেন তাহলে ৬ চামচ চিনি এবং আধা চামচ লবণ ১ লিটার বিশুদ্ধ পানিতে গুলে খেতে হবে। 

এখন স্যালাইন মূলত কিভাবে কাজ করে?দেহে পানি চলে গেছে, এটা পানি ধরে রাখবে। এখন শরীরে body fluid compartment আছে মূলত দুটি- কোষের ভেতর এবং কোষের বাইরে( প্লাজমা বা রক্তে)। কোষের ভেতর এবং বাইরে উভয় জায়গাতেই পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে হয়। এটা জীবের বেচে থাকার জন্য জরুরি। 

কোনো কারণে কোষের ভেতর(ICF বা intracellular fluid) বা কোষের বাইরে(ECF বা Extra cellular fluid) এ পানি কমে বা বেড়ে গেলে জীবের স্বাভাবিক কার্যাকলাপের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। তাই এটা রক্ষা করা জরুরি। 

যখন ডায়রিয়া হয় বা কোনো কারণে পানিশূন্যতা হয় তাহলে কোষের বাইরের পানি বা ECF এর ঘাটতি হয়। এখন এই ঘাটতি পূরণ করার জন্য আমরা স্যালাইন নেই। স্যালাইনের লবণের বৈশিষ্ট্য হলো এটা পানি ধরে রাখতে পারে। 

ফলে ECF এ পানি ধরে রেখে স্যালাইন পানি শূন্যতা দূর করে। এখন যদি স্যালাইন অতিরিক্ত নেয়া হয় তাহলে স্যালাইনের উপাদান লবণ জাতীয় পদার্থ কোষ থেকে পানি বের করে বাইরে নিয়ে আসবে। 

ফলে কোষের ভেতর পানি কমে যাবে। ফলে কোষ মারা যাবে। ECF এ পানি বেড়ে গিয়ে ইডেমা(edema) হবে। edema বলতে শরীরের অংশে অংশে পানি জমা বুঝায়। 

আবার যদি কোনো কারণে ECF এ দ্রব কমে যায় তাহলে পানি কোষের ভেতর চলে যাবে। অতিরিক্ত পানির চাপের কারণে কোষ ফেটে যাবে। আবার ECF এ পানি কমে গেলে পানিশূন্যতা দেখা দিবে। 

অর্থাৎ, ECF এ পানি বেড়ে গেলে

edema হবে 

ECF এ পানি কমে গেলে 

পানিশূন্যতা হবে 

 কোষে পানি বেড়ে গেলে

কোষ ফেটে যাবে 

কোষে পানি কমে গেলে

কোষ মারা যাবে 

খাবার স্যালাইন কি ও তা কিভাবে কাজ , এর উপকারিতা এবং অপকারিতা,খাবার স্যালাইন তৈরির ও খাবার সঠিক নিয়ম,খাবার স্যালাইন এর উপাদান ও বাসায় কিভাবে তৈরি করবো,
সঠিকভাবে স্যালাইন তৈরি না করতে পারলে হবে প্রচুর ক্ষতি। 
কোষ ফেটে যেতে পারে আবার কোষ থেকে পানি বেরিয়ে চুপসে যাবে
Health tips


অর্থাৎ পানির ভারসাম্য রক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাইতো পানিশূন্যতা হলে স্যালাইন অবশ্যই খেতে হবে। 

তাই যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকু স্যালাইন ও পানি ব্যবহার জরুরি। 


স্যালাইন বাসায় কিভাবে তৈরি করবো( How to prepare oral saline) / খাবার স্যালাইন এর উপাদান

আধা লিটার পানি নিয়ে তাতে আধা চামচ লবণ( ৩.৫গ্রাম)  এবং চার চামচ চিনি( যদি বড় হয়) অথবা আট চামচ চিনি (যদি ছোট হয়) (৪০গ্রাম) লবণ দিয়ে তা ভালো ভাবে মিশিয়ে নিলে স্যালাইন তৈরি হবে। 

এটা জানা জরুরি যখন হাতের সাথে Oral Saline না থাকবে। 


কখন স্যালাইন নেয়া উচিত?(When you should take saline) 

অনেকেই কারণ না ছাড়াই স্যালাইন নিয়ে থাকেন। এটা ঠিক নয়, এতে কি হতে পারে তা পূর্বেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সাধারণত যদি মাত্রাতিরিক্ত গরম পরে এবং আপনি ঘামেন তাহলে স্যালাইন গ্রহণ করবেন। কারণ ঘামের সাথে আপনি ইলেকট্রোলাইট(electrolyte) হারান। ওটা পূরণের জন্য স্যালাইন নেয়া যেতে পারে। 

এছাড়াও, ডায়রিয়া, যেকোনো ধরনের পানিশূন্যতায় স্যালাইন ব্যবহার করবেন। অতিরিক্ত বমি হলে স্যালাইন নেয়া যেতে পারে।